দ্বন্দ্ব

ভেবেছি অনেক, লিখব ছড়া।
আসে না মাথায়, কি যায় করা!
পড়েছি ব্রেনেতে করে কি কি কাজ;
দৌড়-ঝাঁপ-হাঁটা-খাওয়া-দাওয়া-সাজ-
-পড়েছি সবই, হয়নি কো পড়া,
ব্রেনেতে লেখে কি লেখে নাকো ছড়া।

কবিকে শুধাই, “পিসা না হাভানা,
কোথা থেকে পাও ছড়ার ঠিকানা?
শুনে কবি বলে, “ছড়া হল ভাই
হৃদয়ের ধন, সেথা থেকে পাই।”

কে বা লেখে ছড়া? হার্ট নাকি মাথা?
ভাবনায় পথে হারালাম ছাতা।
ভাবলাম, ভেবে সলভ করি ধাঁধা,
কিন্তু পড়ল সেখানেও বাধা।
হার্ট দিয়ে ভাবি, নাকি ব্রেন দিয়ে?
হয়ে গেল শুরু তর্ক এ নিয়ে।

“রাবিশ!” বললে ব্রেন করে জাম্প,
“হার্ট দিয়ে ভাবা? ওটা শুধু পাম্প
করছে রক্ত শরীরে ছড়িয়ে,
ভাববে কি করে ওইটাকে দিয়ে?”

“ব্রেন কি বুঝবে, হৃদয়ের জোর?
ওটা খালি বোঝে টু প্লাস টু ফোর।
ও শুধু শিখেছে জ্যামিতি-প্রমাণ;
ছড়া লেখাতে কি ওর অবদান?”
বলল হৃদয় উঁচু করে গলা,
“আমাতে মনের হয় পথ চলা।”

করল ঝগড়া শুরু ও দুটোতে,
আমি ঠুকি মাথা হাতের মুঠোতে।
মাথা না হৃদয়, ভাবব কি দিয়ে?
ভাবলাম, আগে ভাবি এই নিয়ে।
কিন্তু সেটাই ভাবি বা কি দিয়ে?
বিবাদী দুটোই আছে যে মুখিয়ে!
“এই ভাবনার নেই কোনও শেষ,”
ভেবে ছাড়লাম ভাবা শেষমেষ।

                                                                                                                       মার্চ, ২০০৫ 

No comments:

Post a Comment